এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে অস্ত্রের মুখে বাগানে ঢুকে মালিকের স্ত্রী-কন্যাকে জিম্মি করে দুই হাজার গাছ কেটে লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের (৩নং ওয়ার্ড) বগাইছড়ি নলবনিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এসময় বাগানের ঘেরা-বেড়া ভাংচুর করে ব্যাপক তান্ডব চালায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা বাগান মালিককে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগে জানা গেছে, ইউনিয়নের বগাইছড়ি নলবনিয়া গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র নজির আহমদ সেটেলমেন্ট বন্দোবস্তি মূলে জি-হোল্ডিং ১১৫ নং খতিয়ান ও আর-হোল্ডিং ১৩৪ নং খতিয়ানের চার একর ভুমি দীর্ঘ সময় ধরে ভোগদখল করে আসছেন। বিগত চার বছর পূর্বে উল্লেখিত ভুমিতে সেগুন, গর্জন, তেলসুর, বেলজিয়ামসহ হরেক প্রজাতির গাছ রূপন করেন।
অপরদিকে একই ওয়ার্ডের মালুম্মা এলাকার আবদুর রহমানের পুত্র গোলাম কাদেরের লুলোপ পড়ে নজির আহমদের সৃজিত বাগানের অর্ধ কোটি টাকা দামের ওই মুল্যবান গাছের প্রতি। ঘটনার দিন দুপুরে অভিযুক্ত গোলাম কাদেরের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল বাগানের সকল গাছ কেটে নিয়ে যায়। গাছ কাটার সময় বাগানের মালিক নজির আহমদের অবর্তমানে তার স্ত্রী কন্যাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় নজির আহমদের বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় এক হাজার গাছ কেটে ট্রাক গাড়ি যোগে নিয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শফিকে অবগত করা হলে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। জানতে চাইলে ইউপি মেম্বার অভিযোগের সত্যতা জানান তিনি।
বাগান মালিক জানিয়েছেন, এর আগেও গত ২৫ মে তারিখে কামান্ডো স্টাইলে একইভাবে ওই বাগানের আরো এক হাজার গাছ কেটে নিয়ে যায়। এসময় তাদের কায়দায় হামলাকালে নজির আহমদের স্বপরিবারে আহত হয়। ওই ঘটনার পরদিন ২৬মে বিষয়টি নিয়ে লামা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হলে ঘটনস্থল পরিদর্শন করেন থানার উপ পরিপরিদর্শক কৃষ্ণ দাশসহ থানা পুলিশের একটিদল।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত গোলাম কাদের একই ধরণের বাগানের গাছ লুটের অভিযোগে কোরাল লীফ কোম্পানীরসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও তিনি ইতোপুর্বে জবরদখলসহ গাছ লুটের আরো অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বৃষ্টির কারনে ওই সময় পুলিশ পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
পাঠকের মতামত: